শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি গতকালের চেয়ে সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ১০ সেন্টমিটার বেশী বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাজির পয়েন্ট, উকিলপাড়া, ষোলঘর, বড়পাড়া, নবীনগর, তেঘরিয়া, পশ্চিম হাজীপাড়া, তাহিরপুর উপজেলার, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ধর্মপাশা উপজেলা, দিরাই ও ছাতক উপজেলার ২০ হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩ লাখ লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার ৬৩৬ হেক্টর রোপা আমন তলিয়ে গেয়ে। বেসরকারি হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুন বলে কৃষক ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
এদিকে ত্রাণ ও দর্যোগ মন্ত্রণালয় সুনামগঞ্জ জেলায় নগদ ৫ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিকটন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবরের মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, তেল, লবন, চিনি, চিড়া, মুড়ি, দিয়াশলাই ও মোমবাতি। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংঙ্কা ও রয়েছে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আশুতোষ দাস জানান, বন্যা কবলিত এই জেলায় মোট ১২৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম জানান, ত্রাণ ও দর্যোগ মন্ত্রণালয় সুনামগঞ্জ জেলায় নগদ ৫ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিকটন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জনকে বন্যার সময় সাপে কাটা রোগীদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত কার্বোলিক এসিড মজুদ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান।